Chapter 4: নতুন শুরু, বোন মীম আর আশার আলো
আর অপমান নেই ------
🏡 বাপের বাড়ির দরজা খুলতেই… মা দৌড়ে এসে নাঈমাকে জড়িয়ে ধরল। “মা! তোরা এভাবে এলি কেন?” নাঈমা হাসিমুখে বলল, “মা… আমি এসেছি শুধু একটু শান্তি নিতে।” মা বুঝে গেল— কত কষ্ট গোপন করে এই কথা বলছে। কিন্তু মা কিছুই জিজ্ঞেস করল না। কারণ, মায়েরা প্রশ্ন করে না… তারা শুধু বুকে টেনে নেয়।
👧 ছোট বোন মীম দৌড়ে এসে বলল… “আপু!!! তুমি… তুমি এখানে?” তার চোখে জল… হাসি আর কান্না একসাথে। নাঈমা তাকে শুধু জড়িয়ে ধরল। সে মুহূর্তে দুই বোনের মাঝে হাজার কথার প্রয়োজন ছিল না। একটা আলিঙ্গনেই সব কথা শেষ।
😊 নতুন শুরু হলেও… চ্যালেঞ্জ রয়ে গেল বাপের বাড়ি ছোট। একই ঘরে সবাই ঘুমায়। টাকা নেই… কিন্তু অন্ততঃ মানসিক শান্তি আছে। আকাশও নীরবে সবকিছু মেনে নিল। কারণ সে বুঝল— এখন জীবন নতুনভাবে বানাতে হবে।
🧒 আলিফের ছোট্ট হাসি = সবকিছুর শক্তি সন্ধ্যায় যখন আলিফ খেলত আর হাসত, নাঈমার বুক ভরে উঠত। সে জানত – এই শিশুর জন্যই আমাকে জয়ী হতে হবে! হারলে চলবে না।
🔥 কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি… দায়িত্ব বেড়ে গেল খরচ তো কমেনি! বরং এখন নিজ বাপের বাড়ির খরচও কিছু কিছু সাহায্য করতে হবে। নাঈমা ভাবল— “গানই তো পারি… গান দিয়েই পথ খুঁজে নিতে হবে।” কিন্তু কিভাবে? তার তো নিজের কোন চ্যানেল নেই! কোন প্রযোজক নেই! কেউ সুযোগ দিচ্ছে না! ঠিক সেই সময়… একজন মানুষ আল্লাহর রহমতের মতো পাশে এসে দাঁড়ালো… 👉 তার ছোট বোন – মীম।
🎤 মীমের পরিচয় আলাদা মীম শুধু গায়িকা নয়, তার নিজের একটি YouTube চ্যানেল ছিল – “Baul Mim Rani” গ্রামের মানুষ তাকে চিনত। লোকসংগীত, দুঃখের গান, হৃদয় ছোঁয়া কণ্ঠ… তার ভিডিওগুলো ভালোই চলত। সে নাঈমাকে বলল— “আপু… তুই আমার সাথে গান কর। তোর গলা অনেক ভালো। আমি তোকে থামতে দেব না।” এই লাইনটা ছিল নাঈমার জীবনের নতুন সূচনা।
💪 কিন্তু আকাশের কী হবে? আকাশ তখনো বেকার। সারাদিন চুপচাপ থাকে। নিজেকে দোষারোপ করে। নাঈমা আবার সাহস দিল। “আকাশ, তুই ক্যামেরা চালাতে পারিস। ভিডিও তুলতে পারিস। এডিট শিখতে পারিস। তুইও শিল্পী… শুধু পেছন থেকে কাজ করিস।” আকাশ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। সে প্রথমবার বুঝল – তার স্ত্রী শুধু স্ত্রী না… সে একজন সঠিক PARTNER.
✅ মীম আবার দরজা খুলল মীম বলল— “দুলাভাই, আপনি চাইলে আমার চ্যানেলে কাজ করতে পারেন। আমি গান করবো, আপু গান করবে, আপনি ভিডিও করবেন… আমরা তিনজন মিলে টিম বানাবো!” আকাশ প্রথমে লজ্জা পেল। “আমি যদি ভুল করি?” মীম হেসে বলল— “কোনো সমস্যা নেই। ভুল করলে শিখবে… আমরা পরিবার, আমরা একসাথে জিতবো।” এই কথাগুলো শুনে আকাশের মুখে অনেক দিন পরে… আশার হাসি ফিরল।
🎥 এভাবেই শুরু হলো – “টিম নাঈমা-মীম-আকাশ” ✅ মীম – গায়িকা ✅ নাঈমা – গায়িকা ✅ আকাশ – ক্যামেরাম্যান + এডিটর দিনের বেলায় তারা প্র্যাকটিস করত। রাতে বসতো প্ল্যান করতে— 👉 কোন গান রেকর্ড করবো 👉 কোথায় শুট করবো 👉 কেমন গল্প বলবো স্বপ্ন আবার জেগে উঠেছিল। কিন্তু স্যার… এই ছিল শুধু শুরু। এখনো তারা জানত না… আল্লাহ তাদের জন্য এমন এক দরজা খুলে রাখছেন যা তাদের কল্পনারও বাইরে! কারণ খুব শীঘ্রই— নাঈমার গলার সেই দুঃখ… তার সেই ব্যথা ভরা সুর… সমস্ত বাংলাদেশের মানুষকে নাড়িয়ে দেবে। এবং একদিন… হাজার হাজার মানুষ বলবে: “Singer Naima”… এই নাম ভুলব না কোনোদিন!
➡️ (Next Chapter:5 “প্রথম গান… প্রথম ভাইরাল… আর কান্নায় ভেসে যাওয়া হাজারো দর্শক”)



