Chapter 7: মা হিসেবে সংগ্রাম, আকাশের উন্নতি, আর সাফল্যের পরও বিনয়ী নাঈমা
পেছনে সেই গল্পটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। -------
👩👦 মা হিসেবে তার আসল যুদ্ধ শুরু হলো তার বড় ছেলে আলিফ তখন ৪+ বছর। স্টেজে হাজার মানুষ তালি দেয়, কিন্তু বাড়ি ফিরে নাঈমা কাপড় ভাঁজ করে, রান্না করে, আলিফকে খাওয়ায়, গোসল করায়, ঘুম পাড়ায়। মা হওয়া কখনও বন্ধ হয় না।
👶 আল্লাহ আরেকটি উপহার দিলেন… একদিন নাঈমা বুঝল— সে আবার মা হতে যাচ্ছে! দ্বিতীয় সন্তান – আরিফ। কষ্টের ভেতরেও নাঈমার মুখে হাসি। সে বলল— “আল্লাহ যখন দেয়, ভালো কিছু দিয়েই দেয়।” কিন্তু… একদিকে সংসার, আরেকদিকে গান… এবার সবকিছু দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জ!
🤱 আরিফ জন্ম নিল… আনন্দের সাথে দায়িত্বও বাড়ল আরিফ মাত্র কয়েক মাসের শিশু… ৭ মাস বয়স। এত ছোট বাচ্চা রেখে নাঈমাকে বাইরে গান করতে যেতে হতো। স্টেজে যাওয়ার আগে সে চিন্তায় থাকত— “আরিফ ঠিক আছে তো?” “দুধ খেয়েছে তো?” গান গাইতে গাইতে মাঝেমধ্যে চোখে পানি চলে আসতো। কারণ গান শেষ হলে হাজার মানুষ তালি দেবে… কিন্তু তার আসল শান্তি – নিজের ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরা।
🎥 আকাশ বদলে গেল… উন্নতি শুরু! শুরুতে আকাশ শুধু ক্যামেরা ধরত। এখন? ✅ সে এডিটিং শিখে ফেলেছে ✅ লাইভ শো হ্যান্ডল করে ✅ লাইট / সাউন্ড / শুটিং – সব জানে ✅ অন্য চ্যানেলগুলোও তাকে কাজের জন্য ডাকতে শুরু করেছে! একসময় যে আকাশ নিজেকে ব্যর্থ ভাবত… আজ সে নিজের পরিবারকে গর্বিত করছে। আর এই পরিবর্তনের পেছনে কার হাত? 👉 নাঈমা। সে কখনো আকাশকে ছেড়ে দেয়নি। সবসময় বলেছে— “তুই পারবি।”
🧕 নাঈমা যত বড় হচ্ছে… তত বেশি বিনয়ী হচ্ছে তার গান এখন মিলিয়ন ভিউ পায়। লোকেরা বলে “স্টার”… “আইকন”… “লিজেন্ড”… কিন্তু সে যখন গ্রামে যায়, বুढ़ি আম্মুদের সাথে বসে পাটি পেতে খায়, বাচ্চাদের সাথে হাসে, নম্র কণ্ঠে কথা বলে। কেউ বলে— “আপু, তুমি এত বড় হয়েও কখনো নিজেকে বড় ভাবো না কেন?” নাঈমা হাসে… “আমি তো জানি… আমি একদিন একবেলা না খেয়ে থেকেছি। আমি ভুললে চলবে না, আমি কে ছিলাম।” এই বিনয়… এই মানবতা… এটাই তাকে মানুষের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য স্থান দিয়েছে।
🙏 আল্লাহ তাকে দিয়েছেন কিন্তু তিনি ভুলেননি তাঁর প্রতিজ্ঞা... মনে আছে Chapter 3-এ সে বলেছিল— “আল্লাহ যদি আমাকে কিছু দেন… আমি আমার শ্বশুরকে দেখাশোনা করব। কারণ তিনি আমার স্বামীর বাবা… তিনি আমাকে অবহেলা করলেও আমি তাকে অবহেলা করবো না!” এখন সে জনপ্রিয়, তার হাতে সামর্থ্য এসেছে… আর খুব শীঘ্রই… তার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে! কীভাবে? 👉 একদিন… তার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে পড়বে… আর যাকে তিনি একদিন ত্যাগ করেছিলেন… সেই নাঈমাই তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে। এটাই হবে সারা কাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ!
🎯 এখান থেকেই এগিয়ে যাবে গল্পের সেরা মুহূর্ত: ✅ শ্বশুর অসুস্থ / একা / কেউ দেখছে না ✅ সমাজ তাকিয়ে আছে ✅ নাঈমা কী করবে? 👉 প্রতিশোধ নেবে? 👉 নাকি ক্ষমা করবে? এখানেই পাঠকের চোখে পানি আসবে… এখানেই আসবে নাঈমার প্রকৃত মহত্ত্ব।
➡️ (Next Chapter:8 “যে শ্বশুর একদিন তাকে ত্যাগ করেছিল, এখন তার জীবন নাঈমার হাতে… এবং নাঈমা যা করলো তা সবাইকে স্তব্ধ করে দিল”)



